কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ বালুচরে ভুট্টার চাষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল ও জেগে ওঠা বালুচরে ভূট্টা, ধান, ডাল, গম, কলাবাগান ও শাক-সবজি, চিনাবাদাম চাষে সবুজে ঘিরে রেখেছে চারদিক। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। বালুময় এসব চরাঞ্চলে ক্ষেতের ফসলের দৃশ্যে শোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ।

চরাঞ্চলগুলোতে ঘুরে, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল ও জেগে ওঠা বালুচর- কুড়িগ্রাম ধরলা নদীর দুপাড়ে ও নাগেশ্বরী ভূরুঙ্গামারী ফুলবাড়ী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমর ফুলকুমর গঙ্গাধর সংকোষ কালজানি ধরলা, রৌমারী রাজীবপুর চিলমারী উলিপুরতে ব্রহ্মপুত্র ও অসংখ্য নদ-নদী খনন না করায় দীর্ঘদিন থেকে তলানিতে পলি জমে ভরাট হয়ে ফুলকুমর, সংকোস ও ছোট বড় অসংখ্য শাখা নদীর পানি শুকিয়ে বিস্তৃর্ণ বালুচর রূপান্তরিত হয়েছে ফসল চাষাবাদের জমি ও নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের বালুচরে।

নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুচরে ভূট্টা, ধান, ডাল, গম, কলাবাগান ও শাক-সবজি, চিনাবাদামের চাষাবাদ করে অনেকের আয়ের উৎস। চরাঞ্চলে সর্বত্রই জলাশয় বিদ্যমান। বালুচরে চাষ হচ্ছে নাগেশ্বরীতে নারায়ণপুর ইউপির-চরঝাউকুটি, চরবারোবিশ, অষ্টআশীর, মাঝিয়ালী, পাখিউড়া, আইড়মারী, ভেড়ামারা, কালাইয়েরচর, চৌদ্দঘুড়ি, কচাকাটা ইউপির- শৌলমারী, ধনীরামপুর, জালিরচর, বালারহাট, খলিলেরচর, নবারচর, কেদার ইউপির- চরবিষ্ণুর, টেপারকুটি, পুটিমারিরচর, চরটাপু, চরবালাবাড়ি, বল্লভেরখাস ইউপির- চরধারিয়ারপাড়, চরকৃষ্ণপুর, চরবেরুবাড়ি, রহমানেরকুটি, কালীগঞ্জ ইউপির- চরকাঠগিরি, সাহেবগঞ্জচর, চরবেগুনীপাড়া, নামাচর, নুনখাওয়া ইউপির- ব্যাপরীরচর, কাপনারচর, চরফকিরগঞ্জ, চরনুনখাওয়া, চরপাটতলা, রায়গঞ্জ ইউপির- চরদামালগ্রাম, পাঁচমাথাচর, বামনডাঙ্গা ইউপির- চরলুছনী। ভূরুঙ্গামারীতে আন্ধারিঝাড় ইউপির- চরধাউরারকুটি, চরবলদিয়া, পাইকেরছড়া ইউপির- চরগছিডাঙ্গা, চরপাইকেরছড়া, চরচারডাঙ্গা, সোনারহাট ইউপির- চরআসামপাড়া, চরকান্দেরকুটি, কালিরহাটচর, মধ্যেরচর, মরানদীরচর, হাতিরবালারচর, কালিকুরারপাড়, শিলখুড়ি ইউপির- কাইয়েরচর, দক্ষিণ ধলডাঙ্গাচর, ছাট গোপালপুরচর, চরভূরুঙ্গামারী ইউপির- চর ইসলামপুর ও বলদিয়া ইউপির- চরসতিপুরী, চরমংলারকুটি, চরহ্যালোডাঙ্গার জেগে ওঠা বালুচরে ফসল চাষ হচ্ছে সবুজে ভরপুর।

কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কুমোতপুর নামারচর এলাকার জাহের আলী, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আম্বাজ আলী ও বক্কর আলী জানায়, সরকারি পৃষ্টপোষকতা ছাড়াই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা প্রত্যেকে ৩-৪বিঘা করে জমি বরগা নিয়ে ফসল চাষাবাদ করছে।

নারায়নপুর ইউনিয়নের কালারচরের আইনুল হক চাষ করেছে ৬বিঘা, ফালু মিয়া ১০বিঘা, শাহ-আলম ৫০বিঘা, পাখি উড়ার চরের ছাবের মিয়া ফসল চাষাবাদ করছে ১শ ৫০বিঘা। কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগর চরের আমিনুর কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় বিতরণকৃত হাইব্রিড-২৭৫০জাতের ভূট্টা চাষ করেছে ২০বিঘা। বর্তমানে গাছগুলো বেশ হৃষ্ট-পুষ্ঠ ও তরতাজা বলে ফলন ভালো হওয়ার আশা তাদের।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর